Header Ads Widget

Responsive Advertisement

২০২১ সালে গ্রাম পর্যন্ত সুলভে ইন্টারনেট

২০২১ সালের মধ্যে সরকার সুলভ মূল্যে গ্রাম পর্যন্ত মানসম্মত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য যেখানে শিক্ষার্থী এবং উত্পাদনশীলতা আছে সেখানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা। সে জন্যই আমরা ইনফো সরকার-৩ এবং স্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্প নিয়েছি।’. সরকারের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে আইসিটি বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ‘এগিয়ে যাওয়ার তিন বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি বিভাগের গত তিন বছরের অর্জন, সাফল্য ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদ, আইসিটি সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদারসহ অনেকে।. গ্রামে ইন্টারনেটের নিম্নগতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘এটা ঠিক যে গ্রামে এখনো থ্রিজি ইন্টারনেটের কাঙ্ক্ষিত গতি পাওয়া যাচ্ছে না। থ্রিজির যে প্রতিশ্রুত গতি তা মোবাইল অপারেটররা দিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে বিটিআরসি যেমন মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবাদাতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য চাপ দিচ্ছে, তেমনি আমরাও চার কোটি শিক্ষার্থীসহ অন্যদের জন্য দুই লাখ কমন শেয়ারিং অ্যাকসেস পয়েন্টে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে কাজ করছি। আশা করছি ২০২১ সালের মধ্যে আমরা গ্রামে সুলভ মূল্যে মানসম্মত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে পারব।’. বর্তমান সরকারের বিগত তিন বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য ৪৩ হাজার প্রশিক্ষণ দিয়েছি সরকারিভাবে। আর বেসিস এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা সর্বমোট ৫৩ হাজার জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ২০২১ সাল নাগাদ দুই লাখ তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষিত করা এবং ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা। আইটি শিল্পের উন্নয়নে আমরা ১২টি ইনসেনটিভ প্যাকেজ গত বছর পেয়েছি। আমরা ভেঞ্চার ক্যাপিট্যাল গাইডলাইন করেছি। সব মিলিয়ে আইসিটি শিল্প থেকে আমাদের লক্ষ্য ২০১৮ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১ সালের পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় নিশ্চিত করা। ২০০৯ সালে আমরা ২৬ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আইসিটি রপ্তানি শুরু করেছিলাম, যা এখন ৭০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু নীতি উন্নয়নের দরকার আছে।’. আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের চারটি পিলার (মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন, ই-গভর্ন্যান্স প্রতিষ্ঠা ও কানেক্টিভিটি স্থাপন) যত শক্তিশালী করতে পারব, আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা তত ত্বরান্বিত হবে।’ তবে এ ক্ষেত্রে মানশিক্ষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদই আইসিটি খাতের বড় সংকট। এর কারণ হলো, আইসিটি খাতের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচি সংগতিপূর্ণ নয়। ভালো চারা রোপণ করলেই ভালো বৃক্ষ পাওয়া যায়। আর ভালো বৃক্ষ থেকেই ভালো ফল আসে। আইসিটিতে সবচেয়ে বড় সংকট হলো দক্ষ মানবসম্পদের। কেননা, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে পাঠ্যসূচি রয়েছে প্রায়োগিক দিক থেকে তার সঙ্গে আইসিটি খাতের কোনো মিল নেই। তাই প্র্যাকটিক্যাল দিক বিবেচনা করে শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে।’. আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞানের পাশপাশি প্রোগ্রামিংয়েও দক্ষ হতে হবে। আর এ জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি গ্রামে প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক ছয়টি বাস যাচ্ছে। যেখানে নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।. জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আইটি আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা নতুন একটি খাত খুঁজে পেয়েছি। সেটি হলো অ্যাকাউন্টিং বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও)। এটাকেই এখন থেকে ফোকাস করা হবে যাতে তরুণরা এতে উৎসাহিত হয়।’. সরকারের অনেক দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড ও সেবা এখনো ডিজিটাইজড হয়নি। আইসিটি মন্ত্রণালয়ে ই-ফাইলিং শুরু করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে জুনাইদ আহমেদ পলক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা ই-ফাইলিংয়ে এগিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের অধিবেশনে গিয়ে ৫১টি ফাইল আমেরিকা বসে সমাধান করেছেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা ডিজিটাল স্বাক্ষর পদ্ধতি আরো উন্নত করার কাজ করছি। আমরা ৪৪টি মন্ত্রণালয়ের প্রায় সাড়ে চার হাজার কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আমরা খাতভিত্তিক এগোচ্ছি।’. সরকারি সেবা অনলাইনে আনার অগ্রগতি তুলে ধরে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ই-পড়চা থেকে শুরু করে আমরা ২০০ রকম সেবা অনলাইনে এনেছি। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ সরকারি কার্যক্রম আমরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আনতে পেরেছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সাল পর্যন্ত ৯০ শতাংশ সরকারি সেবা অনলাইনে আসা। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আইসিটি ডিভিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অংশ পুরোপুরি ডিজিটাইজড করতে যাচ্ছি। কোরিয়া ই-গভর্ন্যান্সে দক্ষিণ কোরিয়া চ্যাম্পিয়ন। আগামী ১০ বছরে আমরাও কোরিয়ার পর্যায়ে যেতে চাই। এ জন্য কোরিয়া সরকারের সহযোগিতায় আমরা একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছি।’. হাইটেক পার্ক চালু হতে দেরি হয়েছে কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার হাইটেক পার্কের উদ্যোগ নিলেও পরবর্তী সরকারের নির্বুদ্ধিতার কারণে এটি হতে দেরি হয়েছে। তবে হাইটেক পার্ক দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। সেখানে অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে। আগামী ১০ বছরে আমরা হাইটেক পার্কে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করতে পারব। বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আইসিটি কম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। আবার আমাদের দেশীয় কম্পানিগুলোও ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসছে। আমার বিশ্বাস, ২০১৭ সালের মধ্যে আমরা কিছু হার্ডওয়্যার শিল্পের যাত্রা শুরু করতে পারব।’. আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘২০১৬ সালের অক্টোবরে ন্যাশনাল হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এখান থেকে যেকোনো নাগরিক যেকোনো সহায়তা পেতে পারে। হেল্প ডেস্ক পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন হয়েছে মাত্র ১০০ দিন হয়েছে। এরই মধ্যে ৯ লাখ মানুষ এখানে ফোন দিয়েছে। আর সেবা নিয়েছে ১৯ হাজার মানুষ। একমাত্র পোশাক খাত থেকে বিলিয়ন ডলার আয় হয়। কিন্তু সত্যিকারের মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে হলে কেবল একটি খাতের ওপর নির্ভর করলে হবে না। আমাদের তরুণ রয়েছে ১০ কোটি। এর মধ্যে চার কোটি ২৬ লাখ রয়েছে শিক্ষার্থী। মাত্র ৬০ লাখ পোশাককর্মী বিলিয়ন ডলার আয় করে। তাই এই শিক্ষার্থীদের দক্ষ প্রযুক্তিকর্মী বানাতে পারলে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব।’. সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য করা এবং এডুকেশন কাউন্সিল গঠন করার উদ্যোগ নিতে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া আইসিটি খাতের উন্নয়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ভাবা হচ্ছে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে ৫৭টি ব্যাংকেই কাজ চালানো যায় কি না। তবে এত এত উদ্যোগের পরও ঝুঁকি হচ্ছে সাইবার নিরাপত্তা। আর এ বিষয়েও আইন হচ্ছে।’ 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School 7 Minutes School

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ